কী ভাবে সুখের কান্নাকে আটকাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। চোখের কোণে তখনও চিক চিক করছে জল। কোনও মতে সামলে নিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে শুধু এই টুকুই তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে এল, “এটাই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।”
সেরা মুহূর্ত তো বটেই। রবিবার ইউএস গ্রাঁ পি-তে নাটকীয় জয়ের পর  সেই সেরা মুহূর্তই ধরা পড়ল লুই হ্যামিলটনের চোখে-মুখে। এই নিয়ে তৃতীয় বার ফর্মুলা ওয়ান খেতাব জিতলেন তিনি। প্রথম ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার হিসাবে পর পর তিন বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়লেন হ্যামিলটন।
ব্রাজিলের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন আয়ার্টন সেনা-কে আদর্শ করে ফর্মুলা ওয়ান-এর ময়দানে আত্মপ্রকাশ হ্যামিলটনের। তখন থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন আয়ার্টনের রেকর্ড ভাঙার। ফর্মুলা ওয়ানের সার্কিটে নেমে অনেক হার-জিতের সামনাসামনি হয়েছেন তিনি। তবে এ দিনের জয় তাঁর কাছে সবচেয়ে দামি সে কথা বলতে ভোলেননি তিনি। কারণ তিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। রেকর্ড ছুঁয়েছেন তাঁর আদর্শ আয়ার্টনের।
পোডিয়ামে যখন তিনি উঠলেন হাততালির ঝড় বয়ে গেল। ভক্তদের ভালবাসা আর টিমমেটদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা যে তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে সে কথা বলতেও ভোলেননি এই ত্রিশবর্ষীয় ব্রিটিশ এফ ওয়ান চালক। পাশাপাশি, তিনি এটাও স্বীকার করেন যে এই রেসটা তাঁর কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ সেবাস্টিয়ান ভেটেল আর রোজবার্গের মতো চ্যাম্পিয়নরা তাঁর ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছিলেন। ভেটেলের থেকে মাত্র ৯ পয়েন্ট এবং রোজবার্গের থেকে ২ পয়েন্ট দূরে ছিলেন হ্যামিলটন।
ফিনিশিং লাইনে পৌঁছেও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না তাঁর যে তিনি একটা মাইলস্টোন গড়ে ফলেছেন। সম্বিত্ ফেরে যখন তাঁর টিমমেটরা দৌড়ে এসে তাঁকে অভিনন্দন জানায়। আবেগতাড়িত হয়ে হ্যামিলটন বলেন, “আই অ্যাম ফিলিং ইট নাও, গাইস, আই অ্যাম ফিলিং ইট”।
দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন জার্মানির নিকো রোজবার্গ এবং তৃতীয় সেবাস্টিয়ান ভেটেল। তাঁরাও হ্যামিলটনকে অভিনন্দন জানান।