দুর্গাপুজোর আগে যাত্রিবাহী ট্রেন চলবে না লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে।
শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেবকে এ কথা জানিয়ে দিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আর কে গুপ্তা। রেল সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। জিএম জানিয়ে দিয়েছেন, ডিমা হাসাও জেলায় এখনও বর্ষা রয়েছে। বৃষ্টির মরসুম শেষ হওয়ার পর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুতে ওই লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই রেলপথ পরিদর্শনের পর ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ সুদর্শন নায়েক কিছু ত্রুটির কথা তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন। সেগুলি মেরামতের পর যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই ওই ব্রডগেজে যাত্রী ট্রেন চালু করা হবে। জিএম-এর বক্তব্য, মেরামতি না করে ব্রডগেজ রেলপথে ২০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালিয়ে লাভ নেই। উত্তর-পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেল লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেল বোর্ড। নতুন জিএম-এর কাছ থেকে ‘সেফটি সার্টিফিকেট’ পাওয়ার পর প্রথমে আরডিএসও ট্রেন লামডিং থেকে শিলচর পর্যন্ত রেল লাইনের বহনক্ষমতা পরীক্ষা করবে। তার পর রেল বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার-সহ কর্তারা ওই রেলপথ পরিদর্শন করবেন। তাঁদের রিপোর্টের পর পরিস্থিতি বুঝে রেল বোর্ড সবুজ সঙ্কেত দিলে ব্রডগেজে যাত্রিবাহী ট্রেন চলবে বরাকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নবনিযুক্ত জিএম লামডিং-শিলচর রেলপথ পরিদর্শন করেননি। কবে নাগাদ তিনি তা করবেন তা এখনও ঠিক হয় নি। রেল সূত্রে খবর, যাত্রী পরিষেবা শুরুর আগে ব্রডগেজ লাইনের স্টেশনগুলিতে পিআরএস ব্যবস্থা, টিকিট কাউন্টার খুলতে হবে। স্টেশনে স্টেশনে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
কয়েক দিন আগে শিলচরের সাংসদ সুস্মিতাদেবী লামডিং-শিলচর লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নবনিযুক্ত জিএম তাঁকে জানিয়ে দিলেন, পুজোর আগে ওই রেলপথে যাত্রী ট্রেন চলার সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে বরাক উপত্যকা-সহ ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামের বাসিন্দাদের যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরুর জন্য আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে।