নেতাজি অন্তর্ধান সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করা উচিত কেন্দ্রের—লালকৃষ্ণ আডবাণীর সুরেই এ বার বলল আরএসএস-ও। সঙ্ঘের মুখপত্রে এক প্রবন্ধে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যকে ‘সব ষড়যন্ত্রের সেরা ষড়যন্ত্র’ বলে ব্যাখ্যা করে এই দাবি করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা গোপন ফাইলগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার সামনে নিয়ে আসতেই, কেন্দ্রের ফাইল প্রকাশের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ-ও। এ বার অরএসএসের দাবির পরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে গেল মোদী সরকার।
আরএসএসের মুখপত্র ‘অরগানাইজার’-এ শুধু গোপন ফাইল প্রকাশের দাবিই তোলা হয়নি—বলা হয়েছে, নেতাজির ফাইল প্রকাশ্য আনতে মোদী সরকারকে ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা, ‘‘মোদী সরকার যদি অন্তর্ধান রহস্যে আলো ফেলতে কোনও পদক্ষেপ না করে, তা হলে ভবিষ্যতে অন্য কোনও সরকারও সে কাজ করতে পারবে না।’’
আরএসএস মুখপত্রে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘‘নেতাজির মৃত্যু ঠিক কোথায় হয়েছে, সরকারের তা তদন্ত করে দেখা উচিত।’’ নেতাজি ফাইল প্রকাশের দাবির সঙ্গেই সঙ্ঘের মুখপত্রে নিশানা করা হয়েছে নেহরু-গাঁধী পরিবারকে। বলা হয়েছে, ‘‘এই পরিবারের সঙ্গে অনেক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা সব ষড়যন্ত্রের সেরা ষড়যন্ত্র। নেতাজি ও অন্যরকম আদর্শে বিশ্বাসী নেতাদের সম্পর্কে নেহরু-গাঁধী পরিবারকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’’ আরএসএসের মতে, তাঁর বৈপ্লবিক কাজের জন্য নেতাজি দেশের মানুষের কাছে নেহরুর থেকেও বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার পরে দেশের নেতারা সে সব ভুলে গিয়েছেন। বরং স্বাধীন দেশে তাঁর পরিবারের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। আর নেতাজির সঙ্গীদের সাথে অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে।